একজন হ্যাকার কে আপনি অভিনেতার সাথে তুলনা করতে পারেন। সুপারস্টার শাহরুখ খানকে সবাই চিনেন বা তার অভিনীত ছবি সবাই মনে হয় দেখেছেন।

একজন হ্যাকার কে আপনি অভিনেতার সাথে তুলনা করতে পারেন। সুপারস্টার শাহরুখ খানকে সবাই চিনেন বা তার অভিনীত ছবি সবাই মনে হয় দেখেছেন।
কখন চোর, কখন ডাকাত, কখন পুলিশ, কখন ভাল মানুষ, কখন শিক্ষক কখন আবার ছাত্র।
একাধিক চরিত্রের মুলে একটাই উদ্দশ্য “টাকা”। টাকার জন্য তারা মানুষের সামনে চাষা-মজুর থেকে সুরু করে শিল্পপতি পর্যন্ত হয়ে থাকেন। এগুলো সবই মানুষ কে দেখানর জন্য। মানুষকে তাদের রঙ ঢং দেখিয়ে আনন্দ দিয়ে টাকা ইনকাম করাই হল মুল উদ্দশ্য।
একই ভাবে একজন হ্যাকার মানুষে সামনে নিজেকে জনদরদী, ব্যাবসায়ি, ছাত্র-শিক্ষক, শিল্পপতি আবার কখনো সুন্দরী নারি হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে।
তাদের মুল উদ্দশ্য থাকে মানুষের গোপন তথ্য চুরি করা। তথ্য চুরি করার পর নিদ্ধারিত হয়, এক্যাশন কি ধরনের হবে।
হ্যাকার যখন শিক্ষকঃ
একজন হ্যাকার কখন কখন শিক্ষক হয়ে কাউকে জ্ঞ্যানের ভাণ্ডারের ঈশ্বর বানিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে থাকে। তখন সে টার্গেট করা ভিক্টিমকে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরন সরবরাহ করে। দুর্লভ সফটওয়্যার ফ্রী সরবরাহ করে। বিভিন্ন ওয়েব লিঙ্ক দেয় ভিসিট করার জন্য। আসলে এগুলো করেই সে ভিক্টিমের পাসওয়ার্ড হাতিয়ে নেয়। হ্যাকার তার সরবরাহ ক্রিত সামগ্রীর সাথে ম্যালওয়ার যুক্ত করে দেয়।
হ্যাকার যখন শিল্পপতিঃ
শিল্পপতির মুখোশ পরে হ্যাকার রা বিভিন্ন্ মানুষের কাছে ইমেইল করে চাকরির প্রলোভন দেখায়। বায়োডাটা সাবমিট করার জন্য অনুরধ করে।
হ্যাকার যখন ব্যাবসায়ীঃ
হ্যাকারেরা ব্যাবসায়ি সেজে সাধারন মানুষের কাছে ইমেইল পাঠায়। তাদের ইমেইলের ধরন হয়ে থাকে এরকম, আপনি আমাদের কোম্পানির লটারি জিতেছেন বা আপনি যে পন্য টি ক্রয় করতে চেয়েছে তার পেমেন্ট পরিশোধ করা হয়েছে। আপনার ঠিকান ব্যাক্তিগত তথ্য আমাদের কাছে পাঠিয়ে দিন। অল্প দিনের মধ্যে আপনার কাছে আমাদের পণ্য পৌঁছে যাবে।
আবার কখন কখন ব্যাংক থেকে স্টেটমেন্ট পাঠানো হয়। তাদের ফাদে পা দিলেই আপনার সকল তথ্য হারাবেন।
হ্যাকারা যখন সুন্দরী নারিঃ
সুন্দরী নারীর ভেশ ধরে আপনার সাথে বন্ধুত্ব করে আপনার তথ্য চুরি করা তাদের উদ্দেশ্য।
এসব ক্ষেত্রে তারা আপনাকে ইমেইল পাঠাবে। সে একজন বিধবা নারী, তার ব্যাংক এক্যাউন্টে অনেক টাকা আছে তুলতে পারতেছে না আপনার সাহায্য প্রয়োজন। অথবা সুন্দরী নারী সে বাড়ী থেকে পালিয়েছে, তার এক্যাউন্টে অনেক টাকা আছে ক্যাশ উঠানো সমভব নয় কেবল মাত্র ব্যাংক টু ব্যাংক ট্র্যান্সফারই সম্ভব। এছাড়া মুসলিম সংখ্যা গরিস্ট দেশ গুলতে। অমুসলিম অধ্যুষিত দেশে থেকে ইমেইল আসে। যেমন লিবিয়া বা ইরাক থেকে আপানার কাছে ইমেইল আসতে পারে। গাদ্দাফির মেয়ে, বা ছেলের বউ টাকা তুলতে পারতেছে না। ইত্যাদি ইত্যাদি……
জন সচেতনাতাঃ
আপনি হয়ত ভাবতেছে আপনি বারাক ওবামা নন, অথবা তাদের কন্যা বা পুত্র নন। তাহলে আপনাকে হ্যাক করে বা আপনার তথ্য চুরি করে হ্যাকারের লাভ কি?
অবশ্যই লাভ আছে।
• মনে করুন আমি একজন ক্রিমিনাল। আমি আপনার ইমেইল ব্যাবহার করে প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করলাম বা কাউকে হত্যার হুমকি দিলাম। এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এসে কাকে ধরবে প্রাথমিক অবস্থায় একটু চিন্তা করুন।
• আমি আপনার তথ্য চুরি করে আপনার সকল তথ্য ইন্টারনেটে ছেড়ে দিতে পারি।
• আমি আপনার কম্পিউটার/স্মারটফোনের থেকে ব্যাক্তগত তথ্য চুরি করে আপনাকে ব্লাকমেইল করতে পারি।
• আমি আপনার ওয়েব/স্মারটফোন/গুরুত্ব পূর্ণ ইমেইল পাসওয়ার্ড দিয়ে লক করে আপনার কাছে টাকা দাবি করতে পারি। লক খুলে দেয়ার চুক্তিতে।
• আমি আপনার একটা/২টা পাসওয়ার্ড পেলে বুঝতে পারব অনন্য ক্ষেত্রে আপনার পাসওয়ার্ড কেমন হতে পারে। সুযোগ বুঝে আপানাকে ব্লাকমেইল করে পারি।
• আপনার পাসওয়ার্ড ও গোপন তথ্য আমার সংগ্রহে থাকলে এবং এই মুহূর্তে আপনার কাছে মূল্যবান কিছু না পাওয়া গেলেও, পরবর্তীতে কোনো দিন যদি সুযোগ আসে আপনাকে তৎক্ষণাৎ পাকড়াও করা হবে।
আরও অনেক টেকনিক তারা অনুসরন করে তারা অনেক ভাবে মানুষের ক্ষতি করে। সুতারং সাবধান।। দরকার সুধু সচেতনতা।