সাইবার নিরাপত্তায় এশিয়ার পরিস্থিতি বেশ ‘দুর্বল’

টেক শহর কনটেন্ট কাউন্সিলর : যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাইবার নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান বছরব্যাপী পরিচালনা করা তদন্ত থেকে বলেছে, এশিয়ার বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানেরই সাইবার আক্রমণের বিরুদ্ধে নেওয়া প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ওই প্রতিষ্ঠান ম্যানডিয়ান্ট ইন্ডিকেটস তাদের ফলাফলে জানিয়েছে, কোনো প্রতিষ্ঠানের সাইবার নিরাপত্তা লঙ্ঘনের শিকার হওয়া এবং তা আবিষ্কারের মধ্যে এশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর গড়ে ৫২০ দিন সময় লাগে। যা আন্তর্জাতিক গড়ের প্রায় তিনগুণ বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি।

এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে দেখানো হয়েছে, অন্যান্য যেকোনো দেশের তুলনায় এশিয়াতে হ্যাকাররা ৮০ শতাংশ বেশি আক্রমণ চালানোর লক্ষ্যবস্তু হিসেবে বেছে নিয়েছে। আর এক একটি হামলায় গড়ে প্রায় ৩ দশমিক ৭ জিবি করে ডাটা হাতিয়ে নিয়েছে আক্রমণকারীরা।

cyber-crime_techshohor
সাইবার নিরাপত্তায় আইনের দুর্বলতার কারণেই এমন হামলা হয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।

ফায়ারআই যা ম্যান্ডিয়েন্টের মূল প্রতিষ্ঠানের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা গ্র্যাডি সামার্স বলেছেন, তদন্তের ফল খুব উদ্বেগজনক। এশিয়ায় হওয়া সাইবার ঘটনাগুলো যে ঢাকা পড়ছে সেটি তারা জানতেন তবে এতো বেশি পরিমাণে হয় এটা তারা ধারণা করতে পারেননি।

নিরাপত্তা ব্যবস্থা সর্বোচ্চ কতটুকু লঙ্ঘন করা যায় তা পরীক্ষা করতে ম্যান্ডিয়েন্ট একটি প্রতিষ্ঠানের নেটওয়ার্ক তাদের অনুমতি ব্যতিরেকেই হ্যাক করে ফেলে।

গ্র্যাডি জানান, তারা মাত্র তিন দিনেই ওই প্রতিষ্ঠানের সাইবার হামলা চালাতে সক্ষম হন। যদি তিন দিনেই এটা করা সম্ভব হয় তাহলে ৫২০ দিনে কতোটুকু করা সম্ভব হবে তাও ভেবে দেখার বিষয় বলে জানান তিনি।

শুধু তাই নয় এমন ঘটনা ধামাচাপা দিয়ে রাখলে যেকোনো দেশের অর্থনৈতিক ও জাতীয় নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে বলেও জানান তিনি।

তবে এই অঞ্চলে অনেক সাইবার আক্রমণ রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হচ্ছে বলে তদন্ত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। যেখানে অনেক ক্ষেত্রেই দক্ষিণ চীন সাগরের মতো তীব্র ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বিদ্যমান এমন এলাকাগুলোকে লক্ষ্য হিসেবে বেছে নেওয়া হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকাররা বেছে নেয় সরকারি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা ও গবেষণা, মহাকাশযান, শক্তি, প্রতিরক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের মতো বিষয়।

তবে গ্র্যান্ডি বলেন, চীনা হ্যাকাররা এখন লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণ করেছে এশিয়াকে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে এই আক্রমণ কমে এসেছে।