২০০৯ সালে আমরা কজন মিলে বাংলাদেশ পুলিশকে এপ্রোচ করেছিলাম একটা যৌথ কর্মশালা করার জন্য।

২০০৯ সালে আমরা কজন মিলে বাংলাদেশ পুলিশকে এপ্রোচ করেছিলাম একটা যৌথ কর্মশালা করার জন্য।
আমরা বাংলাদেশ পুলিশকে বুঝতে সাহায্য করতে চাচ্ছিলাম যে – আগত ডিজিটাল বাংলাদেশে বিরাট ঝুঁকি হিসেবে আসবে “সাইবার ক্রাইম”। সেই সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ ও প্রতিকারের জন্য এখন থেকে ব্যবস্থা নেয়া শুরু করতে হবে। আর সেটা যদি ঘটেই যায়, তবে কিভাবে সেটার তদন্ত করলে প্রকৃত অপরাধীকে ধরা যাবে। সঠিক প্রমাণ সংরক্ষণ বা তদন্তের অভাবে নির্দোষ কেউ যেন ফেঁসে না যায়। এইসব আর কি।
পুলিশের এক উঁচু কর্মকর্তা তো ভীষণ অবাক হয়েছিলেন, যখন আমরা যখন বললাম – আমাদের ফিস টিস কিছু দিতে হবে না।
হয়ত ভাবলেন আমরা বোধহয় নগদের বদলে লং টার্মে মোটা ব্যবসা চাই। সেরকম ইঙ্গিত করে অন্য প্রশ্ন করলেন।
যখন আমরা বললাম- না তাও চাই না। তখন বেচারা রীতিমতো দ্বিধায় পড়ে গেল।
আমরা বললাম – দেখুন আমরা স্বেচ্ছাসেবক। সবাই মোটামুটি ভাল চাকরি/ব্যবসা করে সচ্ছল। এখান থেকে আয় করাটা আমাদের খুব জরুরী না। আমরা শুধু আমাদের স্কিলটা দেশের কাজে লাগাতে এসেছি।
আধো বিশ্বাস নিয়ে কাজটার সম্মতি দিলেন। তবে যখন ওনারা বুঝলেন যে আমাদের স্বেচ্ছাসেবার নিয়তে কোন খাদ নাই, তখন থেকে দারুণ সাপোর্ট দিলেন।
ব্যস্ততম সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তাদের শিডিউল করে অন্তত একবার কিছু সময়ের জন্য হলেও উপস্থিতি নিশ্চিত করলেন। বিশাল কনফারেন্স রুম ছেড়ে দিলেন। খাওয়ার ব্যবস্থা করলেন। ট্রেনিং শেষে আমাদের বাংলাদেশ পুলিসের সুভেনির দিলেন। আইজিপি বিদেশে থাকায় তার পরের ব্যক্তি এসে আমাদের ধন্যবাদ জানালেন। নিজেদের কর্মসূচি হিসেবে প্রেস ব্রিফিং করলেন।
গত কাল একটা যায়গায় আলাপ করতে গিয়ে মনে হচ্ছিল, এরকম আয়োজন আরও কয়েকবার করা দরকার।
এবার করতে হবে- আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, সিভিল এডমিনিস্ট্রেশন এবং রাজনৈতিক লোকজন একসাথে নিয়ে।
কিন্তু বুঝতে পারছি না কতটা সম্ভব হবে। কারণ তখনকার ভলান্টিয়ার-প্র্যাকটিশনাররা এখন কেউ প্রবাসী, কেউ ব্যবসা নিয়ে ব্যস্ত, কেউ হাই ফ্লাইয়ার চাকুরে।
ভাবছি টিমটাকে আবার গোছানো দরকার।
কারও এই বিষয়ে ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর ইচ্ছে থাকলে আওয়াজ দেন।